রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৮ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা বোর্ডের বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে প্রসিদ্ধ কবি সাহিত্যিকদের লেখা বিকৃত করা হয়েছে। এনসিটিবির কাণ্ডজ্ঞানহীন এমনসব পুস্তক প্রকাশে সারাদেশে বইছে সমালোচনার ঝড়। এবার বদলে গেলো খোদ বঙ্গবন্ধুর মায়ের নামও।
প্রাথমিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বইয়ে অধ্যায় ১০ এ ‘আমাদের জাতির পিতা’ নামে উপ-শিরোনামে আলোচনা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ও সংগ্রামী জীবন। প্রথম প্যারায় শেষ লাইনে উল্লেখ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাবা শেখ লুৎফর রহমান ও মায়ের নাম-সায়েরা বেগম।
এখানে বাবার নাম সঠিক হলেও মায়ের নাম ভুল লেখা হয়েছে। তাঁর মায়ের সঠিক নাম সায়েরা খাতুন, এই নামটি ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে শেখ মুজিবুর রহমান নিজের লেখায় উল্লেখ করেছেন।
তৃতীয় শ্রেণির এই বইয়ের রচনা ও সম্পাদনায় ছিলেন ড. মাহবুবা নাসরীন, ড. আব্দুল মালেক, ড. ইশানী চক্রবর্তী, ড. সেলিনা আক্তার। পরিমার্জনে ছিলেন- লানা হুমায়রা খান, মো. মোসলে উদ্দিন সরকার, মো. মোস্তফা সাইফুল আলম, মো. আবু সালেক খান।
এ ঘটনায় এনসিটিবির তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এনসিটিবির আর্টিস্ট কাম ডিজাইনার সুজাউল আবেদিনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। এর আগে প্রধান সম্পাদক প্রীতিশ কুমার সরকার ও ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ লানা হুমায়রা খানকে ওএসডি করা হয়।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) তথ্যানুযায়ী, প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের ক্ষেত্রে চুড়ান্ত পাণ্ডলিপি অনুমোদন দেয় প্রাথমিক স্তরের ন্যাশনাল কারিকুলাম কমিটিতে (এনসিসি)। এই কমিটির প্রধান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব। সে অনুযায়ী বইয়ে ভুলভ্রান্তির দায় এই মন্ত্রণালয়ের উপরও বর্তায়। তবে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন থেকে ছাপা হওয়ার মধ্যে দীর্ঘ সময়ের মধ্যে পরিবর্তন হয়েছে মন্ত্রণালয়ের সচিব।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা অতিরিক্ত সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, এনসিটিবি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ধীন প্রতিষ্ঠান। ওখানে নামকাস্তে প্রাথমিক শাখা রয়েছে। পৃথক এনসিটিবি না হওয়ায় এ ধরনের ভুলভ্রান্তি চলে এসেছে পাঠ্যবইয়ে। পাঠ্যবইয়ে ভুলের বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তদন্ত কিংবা কোনো পরিমার্জনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে কী না- এমন প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা জানান, এনসিটিবির চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছেন, কোথায়-কোথায় ভুল এসেছে তা জানাতে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি করার কথা উল্লেখ করে বলেন, গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো তদন্ত কমিটি করার দরকার নেই।